ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলাসহ ‘সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্রয়ে’র জবাব দিতেই দেশটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে দিল্লি।
ভারতের দাবি, পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা কম রাখা যায়, তা নিশ্চিত করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানাই’ ছিল অভিযানের উদ্দেশ্য—এটি ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ বলে দাবি করছে দেশটি।
বুধবার (৭ মে) সকালে দিল্লিতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি, সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, পেহেলগামের ঘটনায় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন দায় স্বীকার করেছে। এছাড়া লস্কর-ই-তৈবার সংশ্লিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে হামলার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এতে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্পষ্ট বলেই মনে করছে দিল্লি।
তিনি আরও বলেন, ভারত পাকিস্তানের ভেতরে অবস্থিত ‘সন্ত্রাসবাদী স্থাপনা ধ্বংস’ করেছে। হামলার ফুটেজও সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেখানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মঙ্গলবার গভীর রাতে ২৫ মিনিট ধরে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়।
তবে সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রশ্ন নেওয়া হয়নি। অভিযানে ভারতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে—এ বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।